ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের তৃতীয় দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ১৩০টি। এদিন ১৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রথম পর্বে সকাল ১০টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা কবিতা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্যামলকান্তি দাশ এবং অধ্যাপক মাসুদুজ্জামান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি অসীম সাহা, ইকবাল হাসান, তুষার দাশ, ফরিদ কবির। অধিবেশন সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে বাংলা প্রবন্ধ-সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাবন্ধিক সুমিতা চক্রবর্তী।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের গবেষক সুনন্দা সিকদার, কথাসাহিত্যিক পূরবী বসু, প্রাবন্ধিক মোরশেদ শফিউল হাসান, অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান, অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল, পশ্চিমবঙ্গের চলচিত্র গবেষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, চীনের অনুবাদক ইয়াং উই মিং সর্না, পশ্চিমবঙ্গের গবেষক ইমানুল হক।
এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার।
এছাড়া বিকেল ৫টায় মেলার মূলমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশ নেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, পশ্চিমবঙ্গের গবেষক জিয়াদ আলী, ড. আমিনুর রহমান সুলতান। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।
এছাড়া বিকেল ৫টায় শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে সাহিত্য ও ফোকলোরের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফিরোজ মাহমুদ ও শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশ নেন শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ, সাইমন জাকারিয়া ও সাকার মুস্তাফা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও অন্যভাষার কবিদের স্বরচিত কবিতা এবং ছড়া পাঠ। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সুকুমার বড়ুয়া।
শুক্রবার মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এদিকে, ছুটির দিনে মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়কে শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়।
গো নিউজ২৪.কম/এম