ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরি বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ: কৃষকরা দিশেহারা


গো নিউজ২৪ | আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ০৩:২১ পিএম আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ০৯:২১ এএম
ইরি বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ: কৃষকরা দিশেহারা

লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে এবার হঠাৎ করে নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জেলার ৫ উপজেলার অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, নেক ব্লাস্ট ছত্রাক জাতীয় রোগ। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগ আক্রান্ত হলে ধানের ৭০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হয়ে যায়। ব্লাস্ট রোগ প্রথমত ধান গাছের পাতায় চোখের মত দাগ হয়ে আক্রান্ত করে। পরে গিট, গোড়া ও দানায় আক্রান্ত করে। পাতার রং সাদা হয়ে যায় ও ভিজা দাগ ধরে। ধানের শীষের চিটা হয় এবং ধান গাছ মারা যায়। 

তিনি বলেন, ধান ক্ষেতে প্রচুর পানি ধরে রাখার পাশাপাশি ধানের শীষ বের হওয়ার আগেই জমিতে ফিলিয়া, এমিস্টার টপ, ট্রপার, নাটিভো জাতীয় তরল কীটনাশক ব্যবহার করলে ধান ক্ষেত রক্ষা করা অনেকটা সম্ভব।

হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নে চর এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার হাইব্রীড জাতের ২ বিঘা ইরি-বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট আক্রমণের ভয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঔষুধ প্রয়োগ করেছি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আলতাব হোসেন বলেন, আমার ২৮ জাতের ধান ক্ষেতের শীষ মরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঔষুধ প্রয়োগ করেছি। এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হয়নি।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় বলেন, নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে চাষীদের ছত্রাক জাতীয় ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের লিপলেট বিতরণ করছি, ভয়ের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

গো নিউজ২৪/এএইচ

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা